জীবন যুদ্ধ - Study

Study

Header ADS

জীবন যুদ্ধ

 


আমি নীড়, এ কোন গল্প নয়, এটা আমার বাস্তব জীবনের ২৪/০৯/২০২৪ তারিখে শুরু হওয়াল জীবন কাহিনী।। শুধু কান্নাটা করা যায় না কিন্তু বুকটা ফেটে যাচ্ছে। চোখের পানি সবাই দেখে কিন্তু মনের পানি কেউ দেখে না।

মা কয়েকদিন যাবৎ অসুস্থ, আব্বুকে বললাম মা-কে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে ভালো ডাক্তার দেখেন। আব্বু মা-কে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখানো, বিভিন্ন পরীক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি করলো। একটু পরে আব্বু কল দিয়ে বলবো, আমি অনেক অসুস্থ হয়ে পরছি, আমাকে ডাক্তার ভর্তি হতে বলছে। মা আব্বুকে পাশাপাশি সিটে ভর্তি করছে কিন্তু তাতের সাথে তাদের দেখার কেউ নেই। আমি মা বাবার একমাত্র ছেলে, আমিও চাকরি জন্য অনেক দূরে থাকতে হয়। যাইহোক আমি তাড়াতাড়ি করে অনেক দূর থাকে মা বাবার পাশে থাকার জন্য বের হলাম। উপস্থিত হওয়ায় পরে ডাক্তারের সাথে কথা বললাম, মা বাবার সাথে কথা বললাম রোগ সম্পর্কে জানতে পারলাম। কিছু সময় পরে আব্বুর সমস্যা বেরে যাচ্ছে, ডাক্তারের সাথে কথা বললাম, ডাক্তার বললবো কিছু পরীক্ষা করতে হবে, আমার কথা শুনে ডাক্তার বললো, মেন্টাল প্রস্তুতি রাখেন বাবাকে নিয়ে অন্য কোথাও যেতে হতে পারে। মা এক হাসপাতালে ভর্তি, আবার বাবাকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে এটা ভাবতেই শরীর শিহরিত হয়ে গেলো। কল্পনা করতে পারছি না কার পাশে কে থাকবে, মায়ের পাশে কে থাকবে, বাবার পাশে কে থাকবে, এটা চিন্তা করতে করতে সকল পরীক্ষা করালাম। দেখা যাক আল্লাহ কি করে....যার কেউ নেই তার নাকি আল্লাহ আছে, এটাই বিশ্বাস করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। দুপুরে মা ও আব্বুর রিপোর্ট আসলো, মায়ের টাইফয়েড জ্বর, ডাক্তার আব্বুর রিপোর্ট দেখে সাথে সাথে ঢাকা বড় কোন হাসপাতালে নিতে বলছে, আমার চোখ পানিতে টলমল করছে, শুধু কান্না করতে পারছি না, বোবা কান্না বুঝি এটাই। মা বাবাকে জানালাম তাদের রিপোর্ট সম্পর্কে, মা আমাকে বললো আব্বাকে নিয়ে ঢাকা চলে যাও, সে এখানে একাই থাকতে পারবে কিন্তু আব্বু মা-কে ছাড়া ঢাকা যাবে না, আব্বু মাকে একা রেখে ঢাকা যাবে না, এটাই বুঝি স্বামী স্ত্রীর সারা জীবনের চাওয়া পাওয়া একে অন্যকে ছাড়া বাচা যায় না। সারা জীবন এক সাথে পার করবে। এরপরে ডাক্তারের কাছে গিয়ে বললাম, আব্বু মা-কে ছাড়া ঢাকা যাবে না এবং ঢাকা কোন ভাবেই যাবে না। ডাক্তার কোন ভাবেই আব্বুকে এখানে রাখবে না। অনেক রিকুয়েষ্ট করার পরে রাজি হয়ছে কিন্তু আমাকে বন সই করতে হবে এবং আমার কাছে বন সই রাখছে। আবার বিভিন্ন ঔষধ লেখে দিলো, আমি সব ঔষধ নিচে গিয়ে কিনে নিয়ে আসলাম। একজন নার্স এসে আব্বুকে তাদের কাজ শুরু করলো, আলহামদুলিল্লাহ ধীরেধীরে রাতে দিকে ভালো হচ্ছে, মা ও ধীরেধীরে সুস্থ হচ্ছে, তবে আব্বুকে কয়েকদিন পরে বড় ডাক্তার দেখাতে হবে। জানি না আমার কান্না কেউ বুঝে না, বুঝবে না, বুঝার কেউ নেই, নীরব কান্না শুধু আমার, উপরে ভালো দেখা যায় কিন্তু আমার ভিতরটার কান্না কেউ দেখেও না কাউকে বুঝানাও যায় না, মেহেদী পাতা যেমন উপরে সবুজ ভিতরে টকটকে লাল, সেম আমার ভিতরটা এখন এমন যাচ্ছে। মধ্যবিত্ত মানুষের টাকা ছাড়া কোন কোন মূল্য নেই। জীবনে যায় করি না কেন, ভবিষ্যতে কুত্তার মতো টাকা কামাতে হবে। জীবনে কিছু কিছু মানুষের টাকা ছাড়া কোন মূল্য নেই। আমি টাকার শেষ দেখে ছাড়বো টাকার মধ্যে কি আছে, আমার জীবন দশায় দেখে যাবো। আল্লাহ কসম টাকা আমি ইনকাম করবো ইনশাআল্লাহ।।

Theme images by epicurean. Powered by Blogger.